Posts

প্রাণ ভোমরা ....✍ সঞ্চারী চ্যাটার্জী

Image
গল্প প্রাণ ভোমরা সঞ্চারী চ্যাটার্জী --এ গুলো মাছ? হ্যাঁ গো তুমি এখনো মাছ চেনোনা ? একেই তো এটা সিলভার মাছ তারপর গলা পচা | কবে শিখবে তুমি বাজার করতে ?তিন কাল গিয়ে এক কাল ঠেকলো আর কবে হবে বাপু ? মাছ ধুতে ধুতে বললেন ছায়া দেবী | --সব সময় আমাকে ইনসাল্ট করা?আমি ভালো বাজার করি ,বাজার আমার রক্তে |আজ না হয় মাছটা খারাপ ,তাই বলে তুমি এমনি বলবে ? তুমি কি সবজান্তা গামছা ওয়ালা ? গলা উঁচিয়ে বললেন শ্যামল বাবু | --বুড়ো বলে কি ? শুধু কি আজ? রোজই তো তুমি পচা মাছ নাহলে সবজি আনছো | --মিন্টুর মা,ধম্মে সইবে না কিন্তু ,এতো মিথ্যে বলোনা ,মুখে পোকা হবে,মরণের সময় মুখে জল পাবে না এই বলে দিলাম | --নিজে তো ভুষুন্ডির কাক হয়ে বেঁচে আছেন ,আর আমাকে বলছেন ... --মিন্টুর মা,আমি মরলে তুমি যে বিধবা হবে ,তখন মাছ ,মাংস জুটবে কি করে??? --বাবা,মা তোমরা এবার থামো ,তোমাদের জ্বালায় যে কাক চিল ঘরে বসতে পারে না |মিন্টু ,ঝন্টু সমবেত স্বরে বলে উঠলো | সম্পর্কে শ্যামল বাবু আর ছায়া দেবীর বড়ো ও ছোট ছেলে | ওদের চিৎকারে দু জনেই ঝিম মেরে যায় | ছায়া দেবী তাও সাহস জুগিয়ে অনুযোগের সুরে বললেন --মাছওয়ালা ...

ট্যুরিস্ট থেকে ট্রাভেলার ....✍অয়ন দাস

Image
ভ্রমণ ট্যুরিস্ট থেকে ট্রাভেলার অয়ন দাস জালিয়ানওয়ালাবাগ ইতিহাস যেখানে বেঁচে আছে "I WISH TO STAND,SHORN,OF All SPECIAL DISTINCTIONS,BY THE SIDE OF THOSE OF MY COUNTRY MEN WHO,FOR THEIR SO CALLED INSIGNIFICANCE,ARE LIABLE TO SUFFER DEGRADATION NOT FIT FOR HUMAN BEINGS". Rabindranath Tagore এই চাবুকের মত চিঠিটি রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন লর্ড চেমসফোর্ড কে-যখন ইংরেজ সরকার তাঁকে নাইট উপাধি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে এবং জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করে কবিগুরু তা বর্জন করেন। পাঞ্জাবে সেইসময় নেতা ছিলেন দুজন।সৈফুদ্দিন কিচলু ও ডাঃ সতপাল।হিন্দু মুসলমানের মধ্যে এহেন ঐক্য দেখে ভয় পেয়ে গেল ইংরেজ।আলোচনার নাম করে ডেকে এনে দুজনকেই আচমকা অ্যারেষ্ট করে নিল।এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল পাঞ্জাব।শুরু হল হরতাল,সভা সমিতি।শহরে জারি হল কার্ফু।রাত আটটা থেকে কার্ফু অতএব বিকেলে জমায়েত হতে অসুবিধা নেই।কিন্তু ইংরেজ তখন খ্যাপা কুকুর। ১৯১৯ সালের ১৩ই এপ্রিল বিকেলবেলা।অমৃতসর শহরের কেন্দ্রস্থলের এই বিশাল উদ্যানে অসংখ্য নারী,পুরুষ ও শিশু সমবেত হয়েছেন তাদের অতি প্রিয় বৈশাখি উৎসব পালন করতে।গ...

দাহ .....✍ মহম্মদ সামিম

কবিতা    দাহ       মহম্মদ সামিম সম্পর্ক কি অবিনশ্বর ? ক্ষতমুখে পেরিয়ে যায় পথ, পথের আলাপ প্রতিটি স্মৃতির প্রতিচ্ছবি, আসলে এক নদী, ঢেউ ভেঙে ভেঙে হেঁটে যায় নির্মম রাত মোহনার আলিঙ্গনে ছুঁয়ে দিতে চায় সব ভাঙন, বিচ্যুতি, পিছুটান — প্রতিটি শূন্য হাত ... -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

সাংস্কৃতিক সংবাদ - কালনার ওপর গাইড বই At a glance Kalna র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান

Image
  গত ৩০ শে জুন কালনা সত্যময় সাধারণ পাঠাগারে ভাষাপথ থেকে প্রকাশিত প্রাবন্ধিক সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা বাংলা ইংরাজী ও হিন্দী এই তিনটি ভাষায় কালনার ওপর গাইড বই At a glance Kalna র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাষাপথ পত্রিকার সম্পাদক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ গৌরাঙ্গ গৌস্বামী ও সিনে সোসাইটি কালনার সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর আচার্য ৷ ২৪ পাতার এই বই টি বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন ভাষা ভাষী মানুষের কালনাকে জানার সহায়ক হবে বলে জানালেন সনৎ বাবু ৷ ভাষাপথের সম্পাদক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এই বই করার খুব দরকার ছিলো ৷

ইচ্ছা .....✍ বটু কৃষ্ণ হালদার

কবিতা    ইচ্ছা       বটু কৃষ্ণ হালদার মনের কোণে উঁকি দেয় গোপন ইচ্ছার জল ছুট, মায়াবী স্বপ্নের উড়ান মেঘ পালকের দেশে ভেসে যেতে চায় মন তোমার ভেজা শাড়ির আঁচল হয়ে। আমার নিগূঢ় ইচ্ছে গুলো যখন ভিড় করে তোমার অভিলাসী হৃদয় সরোবরে তোমার হৃদয় দুয়ার খিল দেয় লজ্জাবতী কনের মত। তুমি ঝরনা হয়ে পাড়ি দাও, কোন অচেনা কুলের সন্ধানে ? নীলান্ত সীমানার দূর অজানায় লাগাম দিতে চেয়েছি বেহিসেবে মনটাকে সেও শুনিয়ে যায় করুণ আর্তি আজ বড্ড বেহিসেবি ,খোলামেলা হতে চায় মধুচন্দ্রিমার জোসনা অজান্তেই বাড়িয়েছিলাম হাত পিপাসার্ত সাগরের বুকে হয়তো এই ভেবে এ ভগ্ন কুলে হয়তো আবার নোঙ্গর করবে পসরা, আজ শুকানো গোলাপের গুচ্ছ খানি, গচ্ছিত হৃদয়ের আলমারিতে হয়তো বা কেউ আপন হতে চেয়েছিল কোন একদিন আমার গোপন ইচ্ছা একান্ত অভিসারে নির্ঘুম স্বপ্নের উড়ান ফেরিওয়ালার মতো রিক্ত নিঃস্ব শূন্য হাতে ঘরে ফেরা আজ ও আমার হৃদয়ের একান্ত ইচ্ছে গুলি শুধুই আঁধার রজনী ঘেরা। -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ...

পুনর্জন্ম .....✍ সুদীপ ঘোষাল

কবিতা    পুনর্জন্ম       সুদীপ ঘোষাল মায়াময় মাদকতায় ভাসে জীবকুল প্রথামত ভাসে চিতাভস্ম নাভিকুন্ডলি আমিও ভেসে চলেছি উদ্দাম এক মূর্খ জগতে সেখানে অহঙ্কার লিপস্টিক আঁকে নেশায় ভগ্ন মনোরথে কাঁদে যুধিষ্ঠিরের ভাবনা... হংস মিথুনে চলে পুকুরজীবন ছেঁড়া শালুকের দলে, গ্রীষ্মের শুকনো দাবদাহে আবার পুকুরের কঙ্কাল, ফুটিফাটা হয় গভীর তল আশা দিয়ে বর্ষা ভাসায় জীবনের স্পন্দন... -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

বাজাউ দের অবিশাস্য কাহিনি

Image
অন্যরকম বাজাউ দের অবিশাস্য কাহিনি (জলের নীচে ডুবে থাকার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা তাদের, মালয় সমুদ্রে বাস বাজাউ উপজাতির) প্রায় হাজার বছর আগের কথা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোহর রাজ্যের রাজকন্যা দায়াং আয়েশাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুলু রাজ্যের রাজার সঙ্গে বিয়ে দিতে। তাই জোহরের রাজার বিশাল রাজকীয় নৌবহর চলেছে সমুদ্র পথে। কয়েকশো নৌকার বহর। রাজকন্যাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাজাউ নামের এক উপজাতি। যারা এই এলাকার সমুদ্রকে নিজের হাতের তালুর মতই চেনে। ব্রুনেইয়ের তৎকালীন সুলতান আগেই আয়েশাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জোহরের রাজা তাঁর মেয়ের সঙ্গে ব্রুনেইয়ের সুলতানকে বিয়ে দিতে রাজি নন। এই অপমান ভুলতে পারেননি ব্রুনেইয়ের সুলতান। সুলুর রাজার সঙ্গে আয়েশার বিয়ে তিনি মেনে নিতেও পারেননি। তাই অন্য কৌশল নিলেন সুলতান। আরও বড় নৌবহর নিয়ে এসে অতর্কিতে আক্রমণ করলেন জোহর রাজ্যের নৌবহরকে। গভীর সমুদ্রে তুমুল লড়াইয়ের পর ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন জোহরের রাজকন্যাকে। দেশে ফিরেই রাজকন্যাকে বিয়ে করলেন সুলতানের। আর বিপদে পড়লেন কয়েকশো বাজাউ ও তাদের পরিবার। দেশের ফিরলে জোহরের রাজা কোতল করবেন। প্রাণের ভয়ে তারা আর দেশে ফিরতে পারেনি। স্থলের...

সহজপুর.....✍তনয় ভট্টাচার্য

ছড়া    সহজপুর      তনয় ভট্টাচার্য সহজপুর নামটি গ্রামের আমার জন্মভূমি আজো আমি মনে মনে তাঁহার চরণ চুমি।। আম কাঁঠালের বাগান দিয়ে গ্রামটি ছবি আঁকা পাখপাখালি ফেরে সাঁঝে আকাশ কোরে ফাঁকা।। বাঁশবাগানের ধারে শুয়ে পুকুরটি টলটলে গাছগাছালির ডালপালা সব রূপেতে ঝলমলে।। পুকুরজলে খুশির আলোর ঝলক ধরে রাখে শরৎরাতে ঘাসের ডগা শিশিরকণা মাখে।। -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

"মেঘবালিকার দেশে" (তিনচুলে-তাকদা- লামাহাটা) ....✍শম্পা বসু দাস

Image
ভ্রমণ "মেঘবালিকার দেশে" (তিনচুলে-তাকদা- লামাহাটা) শম্পা বসু দাস আজকে বলবো মেঘ আর পাহাড়ের গল্প।সেই যে মেঘবালিকারা,- যারা থাকতো নীল পাহাড়ের দেশে,তাদের দেশেই তো গেলাম আমরা ! সেই মেঘবালিকাদের সাথে পাহাড়ের তো ভারি ভাব,তারা যেন পাহাড় কে ডেকে বলে, "তুই কি আজ বৃষ্টি নিবি? আলতো স্পর্শে গা ভিজাবি? ভালবেসে বৃষ্টি দেবো,তোর গহীনে জল ছিটাবো শান্ত কোলে ঘুম পাড়াবো বৃষ্টি নিবি?" এমন আদুরে আবদার রুক্ষ পাহাড় কি করে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে?তাই এখানে সারাদিনই চলে মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি !মেঘবালিকার দল লম্বা চুলের গুচ্ছ খুলে পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকে,আবার কখন যেন বেরিয়ে এসে পাহাড় টাকে এক্কেবারে ঝুপুস জলে স্নান করিয়ে দেয়!!আজ তাদের ই গল্প -ছবি এই পাতায়। 'তিনচুলে'- মানে তিনটি চুলা বা উনুন।এখান প্রধান তিনটি পাহাড় তিন চুলা/উনুনের মত তাই এরূপ এর নাম।এর উচ্চতা 5800ft.।এটি ছোট্ট একটি পাহাড়ি জনপদ(hamlet)।দার্জিলিঙ থেকে এর দূরত্ব মাত্র 30কিমি।আকাশ পরিস্কার থাকলে এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দারুণ দেখা যায়।কিন্তু ঐ মেঘবালিকাদের সাথে অভিমান করে তিনি মুখ লুকিয়েছেন।ফলে আমাদের ক...

রমাকান্ত ....✍প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র

ছোটগল্প রমাকান্ত প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র ছেলেটির নাম রমাকান্ত মুখার্জি। অখ্যাত অজপাড়া গাঁয়ের হাসিখুশি, খোলামেলা চরিত্রের একজন মানুষ। শৈশব থেকেই লেখাপড়ায় খুব একটা মন ছিল না রমাকান্তের। সুদর্শন চেহারার এই যুবক বরং খেলাধুলা, গল্প,আমোদ প্রমোদ, পূজা অর্চনায় বেশি সময় কাটাতেন। কৈশোর থেকে যৌবনের মাটিতে পা দিয়ে আর পাঁচ জন ছেলে মেয়েদের মনে যেমন প্রেম উঁকি দেয় রমাকান্তের ক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু সেই প্রেমের কথা পাঁচ কান হতে আঠারো পূর্ন হবার আগেই রমাকান্তের প্রেমিকার বিবাহ দিয়ে দেন তাঁর অভিভাবক। ওই বয়সে রমাকান্তের এহেন আঘাত মনকে বিদীর্ণ করলেও রমাকান্ত নীরবই থাকেন। কারন রমাকান্তেরও বয়স তখন আঠারোয় পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে রমাকান্তের মনে দুঃখ ছিল । এদিকে রমাকান্তের পড়াশুনায় মন নেই। প্রতি শ্রেণীতেই প্রায় দুইবছর করে থাকতে হয়। এমন সময় রমাকান্তের পিতা প্রথমে ওনাকে বাড়ির গৃহ দেবতার পূজা অর্চনার কাজে যুক্ত করেন। কিন্তু সেদিকেও রমাকান্তের মন স্থির হয় না। বাড়িতে রমাকান্ত বলে সে মেকানিক্সের কাজ শিখবে। সন্তানের যেমন ভাবনা তেমন ব্যবস্থা পাকা হয়। শহরের নামি কোম্পানির গ্যারেজে রমাকান্তকে কাজে যু...

নগরকীর্তন ৷ পরিচালক : কৌশিক গাঙ্গুলী

Image
চলচ্চিত্র নগরকীর্তন 'নগরকীর্তন' অর্থাৎ কি না নগরের পথে পথে ঈশ্বরের নামগান করা। ঈশ্বর কে? তিনি আছেন অন্তরেই, তিনি আছেন প্রেমময়রূপে, তিনি আছেন দরবিগলিত কানায় কানায় ফুটে ওঠা হৃৎকমলে। আবার গভীরে ভাবলে এ প্রেমের জন্ম জ্বালা থেকে। কোথাও এ প্রেম আবিষ্কার। কখনো এ প্রেম হারিয়ে খোঁজা। কখনো তীব্র এ প্রেম নামগানের আভাসে অন্য প্রেমের গল্প বলে। অন্য প্রেমের কীর্তন গায়। যে মন মেয়ে হতে চায়, ঈশ্বরের অসতর্কতায় সে শরীরটা পুরুষ হয়ে যায়। আর হাহাকারে ভরা এ নারীমন তীব্রভাবে রূপান্তর চায়। নারীদেহে রূপান্তর। অন্তরে নারী বাইরে পুরুষ নয়। অন্তর ও বাহিরে শুধুই নারী। কিন্তু সে কীর্তন গাইবে কে? অন্তরে রাধাভাবে তাড়িত নিমাই অস্থির হন যখন, কীর্তন মাত্রা পায় আরেক। গাওয়া হয় জীবনের গান। আমরা আকুল হই। আমরা মুচড়ে ওঠা বুককে শান্ত করি আর ভাবি ভালতে বাস করা তো অন্যায় নয়! আমাদের স্বল্পসংখ্যক যে শিল্পীরা এ নিয়ে ভাবান, কৌশিক গাঙ্গুলী যে তাদের অন্যতম, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ কীর্তন অন্য প্রেমের। অন্য ভালবাসার গল্প। আগলভাঙা এমন ভালবাসা যাকে আমাদের সঙ্কীর্ণ সত্তা 'মেনে' নেয়, 'মনে'...

রবি দাদুর জন্ম দিন.....✍অমরেশ বিশ্বাস

ছড়া    রবি দাদুর জন্ম দিন      অমরেশ বিশ্বাস ওরে তোরা উলু দে, বাজা তোরা শাঁখ রবি দাদুর জন্ম দিন আজ পঁচিশে বৈশাখ। রবি দাদুর জন্ম দিনে আজ কত হই চই রবি দাদুর গানের সাথে আয় নাচি সব সই। রবি দাদু এসেছিলেন এদিন পৃথিবীতে সেই যাদুতে বৈশাখেতে মনটা উঠে মেতে। শুনলে রবি দাদুর কথা মনটা ভরে যায় রবি দাদুর জন্ম দিন আজ পালন করি আয়। পিতা দেবেন্দ্রনাথ আর মাতা সারদা সুন্দরী কলকাতাতে জন্ম জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ী। অপছন্দ ছিল স্কুল, বাড়িতে পড়া লেখা অমন মানুষ পৃথিবীতে যায় না তেমন দেখা। কবিতা লিখেছিলেন প্রথম মাত্র আট বছরে সেই শুরু তার পরে লিখেছেন সারা জীবন ধরে। গল্প কবিতা উপন্যাস কত দিয়েছেন উপহার সমৃদ্ধ তাই আজ আমাদের বাংলার ভাণ্ডার। তার গানেতে প্রাণ ভরে যায় নেই তুলনা তার গীতাঞ্জলি লিখে নোবেল পেয়েছেন পুরস্কার। রবি দাদুর কথা ভেবে বুক ভরে গর্বেতে সবাই চেনে বাঙালীদের এখন পৃথিবীতে। ভারতকে দিলেন জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ ‘আমার সোনার বাংলা’ তারই বাঙালীদের প্রিয়। ওরে তোরা উলু দে , বাজা তোরা শাঁখ রবি দাদুর জন্ম দিন আজ পঁচিশে বৈশাখ। -------------------- ভ...

পঁচিশ এলেই .....✍ মৌসুমী চট্ট্যোপাধ্যায় দাস

কবিতা    পঁচিশ এলেই       মৌসুমী চট্ট্যোপাধ্যায় দাস রবিঠাকুর, পঁচিশ এলেই বোশেখ মাসে কেন তোমায় নিয়ে মাতামাতি একটু বেশিই যেন? আমি টেবিল সাফ করি, কাপ মাজতে মাজতে শুনি হোটেল মালিক বলেন, জানিস গায়ক কত্ত গুণী? এফ. এম. বাজে পান দোকানে, রাস্তায় ব্যান্ডপার্টি, গান আমারও ভাল লাগে, শুনতে দাঁড়াই, চাঁটি৷ সারা বছর হিন্দী শুনি, ইংরেজি, পঞ্জাবি, বোশেখ এলে বাংলা আসে, সঙ্গে তোমার ছবি৷ তুমিই না কি গড়ে ছিলে একখানা ইস্কুল, সেথায় না কি অনেক ছাতিম, আমলকি বকুল৷ লালমাটি সেই দেশে তুমি লিখলে বসে বই, সে সব পড়ি, সাধ জাগলেও সাধ্য আমার কই? সব পঁচিশের প্রভাতফেরী তবুও জাগায় আশা, সফল হবে এক প্রভাতে তোমায় ভালবাসা৷ সবার জন্য থাকবে হাওয়া, থাকবে সবুজ মাঠ, সব শিশুদের থাকবে হাতে খুশির সহজপাঠ ৷ -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা .....✍ দীপান্বিতা হক

কবিতা    জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা       দীপান্বিতা হক আজ জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা চলেছে মাসীর বাড়ী ফুল-মালায় সুসজ্জিত রথে দেবে পাড়ি। মেলা প্রাঙ্গন, যেন এক সংসারের সংস্করণ যেদিকে তাকাই দেখি, পরিচিত দ্রব্য টানে মন। মাসী-মেসো, বাবা মায়ের হাত ধরেছে জগন্নাথ কোল পেয়েছে সুভদ্রা, তাই ছাড়ে না মায়ের সাথ। হাত ধরেছে দাদাভাই, ছুটতে মানা বলরাম খেতেই পারো,পাঁপড়ভাজা, জিলিপি আর কালোজাম। " জয় জগন্নাথ" ধ্বনি ওঠে রশ্শি টেনে টেনে ভেঁপুর আওয়াজ উচ্চতর, এমন গান ই চেনে। পথ চলে যায় মাসীর বাড়ী, পুণ্যতর পথ আজকে আমরা গাইব শুধু চৈতণ্যদেবের মত। শহর গ্রামে সকল রথে দেবতা হলেন মূর্ত নীলাচলে মহাপ্রভু আজ নেই আর দূর তো! ঘরে ঘরে দেবশিশুরা টানছে মহারথ ধন্য হলো মেলার উঠোন, ধন্য হলো পথ।। -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

কলকাতা থেকে পুরীর রেলপথ ....✍প্রবীর ঘোষ

অন্যরকম ঠিক এই রকম এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পরেই কলকাতা থেকে পুরীর রেলপথ নির্মাণ করা হয় প্রবীর ঘোষ পুরী। পড়শি রাজ্যের এই শহরটির প্রতি বাঙালির টান প্রবল । প্রভু জগন্নাথের দর্শন পেতে যুগে যুগে বাঙালিরা পুরীধামে ছুটে এসেছে। মহাপ্রভু চৈতন্যদেব বঙ্গদেশ ছেড়ে নিজের জীবনের শেষ ২৪ টা বছর এই পুরীধামে কাটিয়ে ভক্তিযোগ প্রচার করেছিলেন। ধার্মিক দিকটি বাদ দিলেও এখানকার মনোরম আবহাওয়া , অপরূপ সমুদ্রসৈকতের টানে লক্ষ লক্ষ বাঙালি সারা বছর ধরে পুরী বেড়াতে আসে। পুরী হলো বাঙালির আবেগের জাযেগা। বাঙালি হয়ে সারাজীবন একবার পুরী যায়নি এটা আজ অকল্পনীয়। কলকাতা থেকে ট্রেনে খুব কম সময় বা রাতারাতি পৌঁছনো যায় বলেও হয়তো পুরী বাঙালির পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। জগন্নাথের রথযাত্রা উপলক্ষে অনেক বাঙালী হয়তো ইতিমধ্যে পুরী পৌঁছেছেন বা অনেকে পৌঁছবেন কিন্তু কলকাতা থেকে পুরীর ট্রেন সংযোগের পিছনে রয়েছে একটা ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি এবং ৭৮০ জনের মৃত্যুর এক করুণ ইতিহাস। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আর পাঁচটা তীর্থস্থানের মতো পুরীধামেও লোকে পদব্রজে যাতায়াত করত। সে পথ ছিল যেমন বিপদসংকুল তেমনি দুর্গম । লেগে...

অকাজের কাজ .....✍ অর্পণ কর্মকার

কবিতা    অকাজের কাজ       অর্পণ কর্মকার কিছু যখন করার নেই কি আর করি বল, জল ঘাটিগা চল। খাবার নেই ভাড়ারে কি খাব রে ভাই পড়ে আছে চিনির কণা তাই কুড়িয়ে খাই। হাতের কাছে কাজ নেই দুপুরটি নিঝুম তিতির পাখির ডাকটি শুনে দি দিয়ে দিই ঘুম। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন এলো স্বপ্নতে নেই রঙ ঘুম ভাঙতেই লড়াই শুরু ঘড়িতে ঢং ঢং। -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

ঝড় .....✍ জাহিদ জাবের

Image
কবিতা    ঝড়      জাহিদ জাবের ঘর ভাঙা ঝড় এলে থরথর কাঁপে বুক অন্যায় অনাচারে ভারী আজ পাপে বুক। পাপি যারা অনুতাপে চলো আজ নত হই ঝড়ভোগী মানুষের শোকে শোকাহত হই! ঘর ভাঙা ঝড় ওগো দয়া করে থেমে যাও সাগরের ঝড়ঢেউ সাগরেই নেমে যাও। -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

রক্তেপ দল .....✍ তনয় ভট্টাচার্য

কবিতা    রক্তেপ দল       তনয় ভট্টাচার্য ঝলকে ঝলকে বারুদের হুংকার।। রক্তপ দলের নাচন কোদন।। সান্ত্রির লাশ মন্ত্রীর ঘাড়ে।। প্রেমের দিনেও হিংসার উল্লাস।। -------------------- ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।

প্রথম মহিলা ওলা বাইক চালক ....✍মৌসুমী চৌধুরী দাশগুপ্ত

Image
অন্যরকম গতির ছন্দে কলকাতা শাসন করছেন এ শহরের প্রথম মহিলা ওলা বাইক চালক রূপা চৌধুরী মৌসুমী চৌধুরী দাশগুপ্ত সোশাল মিডিয়ায় এক সহনাগরিকের করা পোস্ট থেকে তাঁর কথা জানা। তারপর শুরু খোঁজ। বেশি সময় লাগেনি অবশ্য খুঁজে পেতে। মেসেজ করে জিজ্ঞেস করলাম কখন ফোন করলে সুবিধে? উত্তর এল, ‘সকাল ন’টার পরে।’ তার আগে ফুরসত হয় না তাঁর। বাড়ি ফিরতে ফিরতে অধিকাংশ দিনই রাত বারোটা-একটা পেরিয়ে যায়। পরের দিন সকাল সাড়ে আটটা-ন’টার মধ্যেই ফের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়া। কারণ বাইকের গতির সঙ্গেই বাঁধা হয়ে গেছে তাঁর জীবন। তিনি রূপা চৌধুরী, এ শহরের প্রথম মহিলা ওলা বাইক চালক। একে মহিলা বাইকচালক, তার উপরে ওলা ড্রাইভার? চমক লাগা খুব স্বাভাবিক। ‘‘স্কুটি বুক করার পর কেউ যখন ফোন করে আমার গলা শোনেন, একটু থমকে যান। বলেন, ‘ওহ, আপনিই চালাবেন...’’, ফোনে বলছিলেন রূপা। ওলার সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে? ‘‘ আমি প্রথমে সুইগি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের হয়ে কাজ করতাম। কিন্তু সুইগিতে কাজ করার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তার পরে নিজে থেকেই লগ আউট হয়ে যায়। তাই ভাবছিলাম পরের সময়টুকু যদি কোনওভাবে ...

ব্যাগের ইতিকথা ....✍অনুভা নাথ

অন্যরকম ব্যাগের ইতিকথা অনুভা নাথ আজ লিখবো ব্যাগের ইতিকথা।ব্যাগ ছাড়া আমাদের জীবন অচল।মনে আছে,খুব ছোটোবেলায় প্রথম স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে স্কুলব্যাগ কিনে দেওয়া হয়েছিল,সেটাই ছিল আমার প্রথম নিজের ব্যাগ,আমার রাজত্ব,যেটা আমি গোছাতাম,ব্যাগের মধ্যে তখন কত অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখতাম,হয়তো কোনো গাছের ফুল ভালো লেগে গেলো,সাথে সাথে সেটা ব্যাগস্থ করলাম।তারপর যখন আরও বড়ো হলাম তখন উঁচু ক্লাসের প্রয়োজনে আগের ব্যাগ বাতিল হলো। তারপর অনেকদিন পর সেই আগের ব্যাগ হাতের কাছে পেলাম।ব্যাগ খুলে দেখলাম,স্কুলে শিশুশ্রেণীর আমার এক বন্ধু আমার ওপর অভিমান করে চিরকুটে শিশু হাতে লিখেছিল "তোর সাথে আড়ি"।সেই মলিন হয়ে যাওয়া কাগজে ,নড়বড়ে হাতের লেখায়,প্রায় ছিন্ন চিরকুটটা ব্যাগের মধ্যেই থেকে গিয়েছিল।লেখাটা অনেক দিন পর এমন অবিশ্বাস্য ভাবে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগায় মনটা ভরে উঠেছিল। আর একবার,আমরা দার্জিলিং গিয়েছিলাম,ওখানে যে হোটেলে ছিলাম সেখানকার আমাদের থেকে বয়সে অল্প বড়ো একজন দাজু ছিলো,দার্জিলিং এর স্থানীয় ভাষায় দাদাকে "দাজু" বলা হয়।তো সেই দাজু আমাদের ভালোবেসে কিছু লজেন্স দিয়েছিলো,আমি ওই লজেন্সগুলো ...

মানুষ ....✍ সাদাত হোসাইন

গল্প মানুষ সাদাত হোসাইন তখন 'পানি'কে 'জল' বললেই পিঠের উপর দুমদাম পড়তো। এটা আম্মার ইসলামি আদব লেহাজ শেখানোর অংশ ছিল। সাথে ছিল বাজখাই গলায় বকুনি, ‘মোসলমানের পোলা হইয়া পানিরে কস জল, ছি ছি ছি। এই হাতের গেলাসের পানি ফেলা। এই পানি এহন আর হালাল নাই, ফেলা, ফেলা। বিসমিল্লাহ বইলা আবার পানি নে। তারপর মাটিতে বইসা আদবের সাথে তিন ঢোক দিয়া খা, তিন ঢোকে সব পানি খাবি। এক ঢোকে না। এক ঢোকে পানি খায় শয়তানে’। আমি গ্লাসের পানি ফেলে দিয়ে আবার পানি নিয়ে মাটিতে বসে আদবের সাথে গ্লাসে চুমুক দিতে যাবো, অমনি আম্মার জোর চিৎকার, ‘পানি খাওনের দোয়া পরছস? জানোস দোয়া? দোয়া পড়, দোয়া পড়’। - দোয়াতো ভুইলা গেছি আম্মা!’ - ‘কি! দোয়া ভুইলা গেছস!! কই নিবি আমারে? কই? দোজখে? অক্ষন দোয়া মুখস্ত কর, অক্ষন, বল, অসাকা হুম রব্বাহুম সরাবান তহুরা’। পড়, মুখস্ত কর, মুখস্ত কইরা তারপর এইখান থেইকা উঠবি’। আমি গভীর মনোযোগ এবং খানিক আগে দোয়া ভুলে যাওয়ার ভয় নিয়ে দোয়া মুখস্ত করতে বসে গেলাম। অসাকা হুম রব্বা হুম সরাবন তহুরা। এই দৃশ্য কেবল আমার একার না। কমবেশি সেই সময়ের আমাদের সবারই। আমরা তখন ভুলেও ...

কবরই নিরাপদ ....✍ প্রাণকৃৃৃৃষ্ণ মিশ্র

গল্প কবরই নিরাপদ প্রাণকৃৃৃৃষ্ণ মিশ্র পাহাড়ের ছোট্টগ্রামের এককোনে বাড়ি আজমিরা বানুর। সবে ৮ বছর বয়স। গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আজমিরা ছুটে খেলে বেড়ায়। দারিদ্রতা ওর মনকে তখনও ছুঁতে পারেনি, ও বোঝে না ধর্ম কি? নারী ও পুরুষের মধ্যে কি পার্থক্য তাও ওই বয়সে আজমিরা বোঝেনি। আজমিরার আব্বু শহরে রিকশা চালায়, ওর মা গৃহকৰ্ম নিয়েই থাকে। বাড়িতে দুচারটি গবাদি পশুও আছে। গবাদি পশুর জন্য খাবার কেনা ওদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আজমিরার মা পাহাড়ের জঙ্গল থেকেই ঘাস পাতা কেটে আনে। কোন কোন দিন ফিরতেও সন্ধ্যা হয়ে যায়। সংসার চালাতে, কন্যার ভালোর জন্য এটুকু পরিশ্রম তো করতেই হয়। তাছাড়া আজমিরাকে বড় করতে হবে। কষ্টের সংসার হলেও একটু দেরি হলেও আজমিরাকে ওর মা গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করেছে। আজমিরার আব্বু না চাইলেও ,মা চায় আজমিরা লেখাপড়া শিখে বড় হোক। পাঠশালায় অন্যান্য সহপাঠীদের থেকে আজমিরা বয়সে একটু বড়ই। এই জন্য বন্ধুদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় ওকে। কষ্ট হয় আজমিরার। সন্ধ্যায় মায়ের কোলে মাথা দিয়ে যখন শুয়ে থাকে আজমিরা মাকে প্রশ্ন করে “আচ্ছা মা, আমি অন্য বন্ধুদের থেকে বড়...