কবরই নিরাপদ ....✍ প্রাণকৃৃৃৃষ্ণ মিশ্র
গল্প
কবরই নিরাপদ
প্রাণকৃৃৃৃষ্ণ মিশ্র
পাহাড়ের ছোট্টগ্রামের এককোনে বাড়ি আজমিরা বানুর। সবে ৮ বছর বয়স। গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আজমিরা ছুটে খেলে বেড়ায়। দারিদ্রতা ওর মনকে তখনও ছুঁতে পারেনি, ও বোঝে না ধর্ম কি? নারী ও পুরুষের মধ্যে কি পার্থক্য তাও ওই বয়সে আজমিরা বোঝেনি।
আজমিরার আব্বু শহরে রিকশা চালায়, ওর মা গৃহকৰ্ম নিয়েই থাকে। বাড়িতে দুচারটি গবাদি পশুও আছে। গবাদি পশুর জন্য খাবার কেনা ওদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আজমিরার মা পাহাড়ের জঙ্গল থেকেই ঘাস পাতা কেটে আনে। কোন কোন দিন ফিরতেও সন্ধ্যা হয়ে যায়। সংসার চালাতে, কন্যার ভালোর জন্য এটুকু পরিশ্রম তো করতেই হয়। তাছাড়া আজমিরাকে বড় করতে হবে। কষ্টের সংসার হলেও একটু দেরি হলেও আজমিরাকে ওর মা গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করেছে। আজমিরার আব্বু না চাইলেও ,মা চায় আজমিরা লেখাপড়া শিখে বড় হোক।
পাঠশালায় অন্যান্য সহপাঠীদের থেকে আজমিরা বয়সে একটু বড়ই। এই জন্য বন্ধুদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় ওকে। কষ্ট হয় আজমিরার।
সন্ধ্যায় মায়ের কোলে মাথা দিয়ে যখন শুয়ে থাকে আজমিরা মাকে প্রশ্ন করে “আচ্ছা মা, আমি অন্য বন্ধুদের থেকে বড় কেন?”
ঘুমপাড়ানি গান শোনাতে শোনাতেই মা বলে সংসার, অভাব অনটনের গল্প। গল্প বলে কেন ওকে দেরি করে পাঠশালায় ভর্তি করেছে।
মা বলে “তোর আব্বু তো তোকে পাঠশালায় ভর্তিই করতে চায় নি। বলে কি হবে আমাদের ঘরে লেখাপড়া শিখে। বরং কয়েকবছর পরই আজমিরার সাদী দিয়ে দেব।”
কিন্তু আমি তা চাই না। অল্প বয়সে সাদী দেওয়া ঠিক নয়। তুই মা ভালো করে লেখাপড়া কর। আমি তোর লেখাপড়ার জন্য আরো আরো পরিশ্রম করব। তুই বড় হয়ে শহরের কলেজে যাবি। আমার স্বপ্ন সেদিন স্বার্থক হবে।
আজমিরা ঘুমিয়ে যায়। ওর মা কোল থেকে মাথাটা নামিয়ে ঘটিতে থাকা জল খেয়ে শুয়ে পড়ে। কষ্টের সংসারে কোন দিন রাতে দুটো রুটি জোটে আবার কোনদিন জোটে না। মোরদটা ৩-৪দিন অন্তর কোন দিন রাতে ফেরে আবার কখনো একদুই সপ্তাহ কেটে যায়। স্বামীর জন্য পথ চেয়ে থাকে আজমিরার মা।
এইভাবেই দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কাটে আজমিরাদের।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করে আজমিরা বিদ্যালয়ে যাবার পর আজমিরার মা চলে যায় পাহাড়ের উপরে ঘাস অথবা জ্বালানি সংগ্রহ করতে। কোনদিন বিকালেই ফেরে আবার কোন কোনদিন সন্ধ্যা হয়ে যায়। গ্রামের পথে আজমিরা তখন অন্য বন্ধুদের সাথে খেলে আর মায়ের প্রতীক্ষায় থাকে। দূর থেকে মাকে দেখলে আজমিরা ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মাকে। আবদার করে কোলে নেবার, আবদার করে লজেন্স খাব পয়সা দাও।
বাড়ি ফিরে আজমিরার মা বকাবকিও করে। আজমিরাকে বোঝায় মা, তুই বড় হয়েছিস। সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলবি না। বাড়িতে থাকবি।
আজমিরা বলে-তুমি তো থাকো না বাড়িতে। তাহলে আমি কি করব, কার কাছে থাকব?
মা বলে- কেন ? তুমি রহিম চাচার বাড়িতে থাকবে। বই নিয়ে রহিম চাচার মেয়ের সাথে পড়বে, খেলবে। তা ছাড়া চাচী তো তোমায় খুব ভালবাসে ।
আজমিরা রেগে বলে আমার ভালো লাগে না।
আমি খেললে কি হয়। আমি তো ছোট।
আজমিরার মা বোঝায় আজমিরাকে। দেখ মা, গ্রামের পরিস্থিতি ভালো না। তাছাড়া উপত্যকায় ওধারে ঝামেলা হচ্ছে। তাছাড়া আমরা মুসলমান। আমাদের মেয়েদের সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকতে নেই।
আজমিরা -”মুসলমান-হিন্দু” এসব কথা কেন বলছ মা। আমাদের পাঠশালাতেও এসব আলোচনা করে রাকেশ, সুমনরা। জান মা ওরা আর আমার পাশেও বসে না।
বলে তুই মুসলমান।
আমার খুব কষ্ট হয়। একদম ভালো লাগে না।
আচ্ছা মা হিন্দুই হোক আর মুসলমান সবাই তো আমরা মানুষ নাকি বলো? পাঠশালার রতন স্যার বলেন হিন্দু, মুসলমান এসব মানুষের তৈরি।
আজমিরার মায়ের চোখে জল।
আজমিরা জড়িয়ে ধরে মাকে। কেঁদো না মা। আমি তোমার কথা শুনব। আর সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলব না।
সে দিন আকাশ মেঘলা। বিকালের দিকে হালকা দু এক পশলা বৃষ্টি পরেছে। বৃষ্টিতে আটকে গেছে । আশ্রয় নিয়েছে ওর মা পাইন গাছটার তলায়। ভয় হচ্ছে। মেয়েটা কি করছে বাড়িতে। বৃষ্টি থামতেই তাড়াতাড়ি ঘাস কেটে বাড়ি ফিরে আজমিরার মা দেখে আজমিরা বাড়িতে নেই। রহিমের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেন। সেখানেও নেই আজমিরা।
গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সকলে মিলে তন্যতন্য করে খুঁজেও আজমিরাকে পাওয়া গেল না। এদিকে পুলিশ চৌকি অনেক দূরে শহরে। ভোরের আগে সেখানেও যাওয়া যাবে না। সারা রাত ঘুম নেই পাড়া পড়শীর। কোথায় গেল আজমিরা। এমন তো কোনদিন হয়নি।
ভোর হতে না হতেই রহিমের সাথে আজমিরার মা পৌঁছায় পুলিশ চৌকিতে। পুলিশ আসে গ্রামে ,আসে পুলিশ কুকুর।
তন্য তন্য করে গ্রামের এদিক সেদিকে খুঁজে অবশেষে মন্দিরের পরিতক্ত একটি ঘরের বারান্দায় পাওয়া গেল আজমিরার একপাটি কর্দমাক্ত জুতো।
তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের।
ঘর খুলে দেখা গেল আজমিরার নিথর দেহ। ওর জামা রক্তাক্ত। গোটা শরীরের আঁচড়ানো খিমচানোর দাগ। বিবস্ত্র আজমিরা শুয়ে আছে, চোখ বুজে। পাশেই পরে আছে পুরোহিতের রুদ্রাক্ষের মালার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অংশ।
আজমিরা লাশ হয়ে গেছে। পুলিশ আজমিরার নিথর দেহ তুলে নিয়ে যায় হাসপাতালের মর্গে।
আজমিরা মুসলমান। আজমিরা নারী। ধর্মের চোখে নারী শুধুই ভোগ্য। নারী দেহ কোন ধর্মেই কাফের হয় না। সম্ভোগের জন্য পুরুষ চায় শুধুই একটা নারী দেহ। সে মা নয়, কন্যাসম নয়-সে শুধুই এক নারী।
সেখানে দয়া, মায়া, স্নেহ, ভালোবাসা সবই মিথ্যা
হয় । সেখানে থাকে শুধুই ধর্মীয় প্রতিহিংসা অথবা সম্ভোগ সুখ চরিতার্থ করার প্রবৃত্তি।
আজমিরার পোস্টমর্টেম হয়। গ্রামে সভা সমিতি হয়। রাজনৈতিক কূট কৌশল শুরু হয়। সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। বিচার পায় না আজমিরা।
আজমিরা আজো কবরে শুয়ে প্রশ্ন করে - কেন বিবেক বিহীন এই বিশ্ব? কেনই বা চেতনায় হাহাকার?
ডুকরে ডুকরে কাঁদে আজমিরা।
আজমিরা এখন খেলতে চায় না গ্রামের পথে পথে, আজমিরা এখন পাঠশালায় যেতে চায় না।
কারন কবরই ওর কাছে নিরাপদ আশ্রয়। এখানে ধর্ষিত হবার ভয় নেই। বরং কবর থেকে বাইরে বেরুলেই ও আবার ধর্ষিত হতে পারে।
আজমিরার আব্বু শহরে রিকশা চালায়, ওর মা গৃহকৰ্ম নিয়েই থাকে। বাড়িতে দুচারটি গবাদি পশুও আছে। গবাদি পশুর জন্য খাবার কেনা ওদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আজমিরার মা পাহাড়ের জঙ্গল থেকেই ঘাস পাতা কেটে আনে। কোন কোন দিন ফিরতেও সন্ধ্যা হয়ে যায়। সংসার চালাতে, কন্যার ভালোর জন্য এটুকু পরিশ্রম তো করতেই হয়। তাছাড়া আজমিরাকে বড় করতে হবে। কষ্টের সংসার হলেও একটু দেরি হলেও আজমিরাকে ওর মা গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করেছে। আজমিরার আব্বু না চাইলেও ,মা চায় আজমিরা লেখাপড়া শিখে বড় হোক।
পাঠশালায় অন্যান্য সহপাঠীদের থেকে আজমিরা বয়সে একটু বড়ই। এই জন্য বন্ধুদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় ওকে। কষ্ট হয় আজমিরার।
সন্ধ্যায় মায়ের কোলে মাথা দিয়ে যখন শুয়ে থাকে আজমিরা মাকে প্রশ্ন করে “আচ্ছা মা, আমি অন্য বন্ধুদের থেকে বড় কেন?”
ঘুমপাড়ানি গান শোনাতে শোনাতেই মা বলে সংসার, অভাব অনটনের গল্প। গল্প বলে কেন ওকে দেরি করে পাঠশালায় ভর্তি করেছে।
মা বলে “তোর আব্বু তো তোকে পাঠশালায় ভর্তিই করতে চায় নি। বলে কি হবে আমাদের ঘরে লেখাপড়া শিখে। বরং কয়েকবছর পরই আজমিরার সাদী দিয়ে দেব।”
কিন্তু আমি তা চাই না। অল্প বয়সে সাদী দেওয়া ঠিক নয়। তুই মা ভালো করে লেখাপড়া কর। আমি তোর লেখাপড়ার জন্য আরো আরো পরিশ্রম করব। তুই বড় হয়ে শহরের কলেজে যাবি। আমার স্বপ্ন সেদিন স্বার্থক হবে।
আজমিরা ঘুমিয়ে যায়। ওর মা কোল থেকে মাথাটা নামিয়ে ঘটিতে থাকা জল খেয়ে শুয়ে পড়ে। কষ্টের সংসারে কোন দিন রাতে দুটো রুটি জোটে আবার কোনদিন জোটে না। মোরদটা ৩-৪দিন অন্তর কোন দিন রাতে ফেরে আবার কখনো একদুই সপ্তাহ কেটে যায়। স্বামীর জন্য পথ চেয়ে থাকে আজমিরার মা।
এইভাবেই দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কাটে আজমিরাদের।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করে আজমিরা বিদ্যালয়ে যাবার পর আজমিরার মা চলে যায় পাহাড়ের উপরে ঘাস অথবা জ্বালানি সংগ্রহ করতে। কোনদিন বিকালেই ফেরে আবার কোন কোনদিন সন্ধ্যা হয়ে যায়। গ্রামের পথে আজমিরা তখন অন্য বন্ধুদের সাথে খেলে আর মায়ের প্রতীক্ষায় থাকে। দূর থেকে মাকে দেখলে আজমিরা ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মাকে। আবদার করে কোলে নেবার, আবদার করে লজেন্স খাব পয়সা দাও।
বাড়ি ফিরে আজমিরার মা বকাবকিও করে। আজমিরাকে বোঝায় মা, তুই বড় হয়েছিস। সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলবি না। বাড়িতে থাকবি।
আজমিরা বলে-তুমি তো থাকো না বাড়িতে। তাহলে আমি কি করব, কার কাছে থাকব?
মা বলে- কেন ? তুমি রহিম চাচার বাড়িতে থাকবে। বই নিয়ে রহিম চাচার মেয়ের সাথে পড়বে, খেলবে। তা ছাড়া চাচী তো তোমায় খুব ভালবাসে ।
আজমিরা রেগে বলে আমার ভালো লাগে না।
আমি খেললে কি হয়। আমি তো ছোট।
আজমিরার মা বোঝায় আজমিরাকে। দেখ মা, গ্রামের পরিস্থিতি ভালো না। তাছাড়া উপত্যকায় ওধারে ঝামেলা হচ্ছে। তাছাড়া আমরা মুসলমান। আমাদের মেয়েদের সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকতে নেই।
আজমিরা -”মুসলমান-হিন্দু” এসব কথা কেন বলছ মা। আমাদের পাঠশালাতেও এসব আলোচনা করে রাকেশ, সুমনরা। জান মা ওরা আর আমার পাশেও বসে না।
বলে তুই মুসলমান।
আমার খুব কষ্ট হয়। একদম ভালো লাগে না।
আচ্ছা মা হিন্দুই হোক আর মুসলমান সবাই তো আমরা মানুষ নাকি বলো? পাঠশালার রতন স্যার বলেন হিন্দু, মুসলমান এসব মানুষের তৈরি।
আজমিরার মায়ের চোখে জল।
আজমিরা জড়িয়ে ধরে মাকে। কেঁদো না মা। আমি তোমার কথা শুনব। আর সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলব না।
সে দিন আকাশ মেঘলা। বিকালের দিকে হালকা দু এক পশলা বৃষ্টি পরেছে। বৃষ্টিতে আটকে গেছে । আশ্রয় নিয়েছে ওর মা পাইন গাছটার তলায়। ভয় হচ্ছে। মেয়েটা কি করছে বাড়িতে। বৃষ্টি থামতেই তাড়াতাড়ি ঘাস কেটে বাড়ি ফিরে আজমিরার মা দেখে আজমিরা বাড়িতে নেই। রহিমের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেন। সেখানেও নেই আজমিরা।
গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সকলে মিলে তন্যতন্য করে খুঁজেও আজমিরাকে পাওয়া গেল না। এদিকে পুলিশ চৌকি অনেক দূরে শহরে। ভোরের আগে সেখানেও যাওয়া যাবে না। সারা রাত ঘুম নেই পাড়া পড়শীর। কোথায় গেল আজমিরা। এমন তো কোনদিন হয়নি।
ভোর হতে না হতেই রহিমের সাথে আজমিরার মা পৌঁছায় পুলিশ চৌকিতে। পুলিশ আসে গ্রামে ,আসে পুলিশ কুকুর।
তন্য তন্য করে গ্রামের এদিক সেদিকে খুঁজে অবশেষে মন্দিরের পরিতক্ত একটি ঘরের বারান্দায় পাওয়া গেল আজমিরার একপাটি কর্দমাক্ত জুতো।
তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের।
ঘর খুলে দেখা গেল আজমিরার নিথর দেহ। ওর জামা রক্তাক্ত। গোটা শরীরের আঁচড়ানো খিমচানোর দাগ। বিবস্ত্র আজমিরা শুয়ে আছে, চোখ বুজে। পাশেই পরে আছে পুরোহিতের রুদ্রাক্ষের মালার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অংশ।
আজমিরা লাশ হয়ে গেছে। পুলিশ আজমিরার নিথর দেহ তুলে নিয়ে যায় হাসপাতালের মর্গে।
আজমিরা মুসলমান। আজমিরা নারী। ধর্মের চোখে নারী শুধুই ভোগ্য। নারী দেহ কোন ধর্মেই কাফের হয় না। সম্ভোগের জন্য পুরুষ চায় শুধুই একটা নারী দেহ। সে মা নয়, কন্যাসম নয়-সে শুধুই এক নারী।
সেখানে দয়া, মায়া, স্নেহ, ভালোবাসা সবই মিথ্যা
হয় । সেখানে থাকে শুধুই ধর্মীয় প্রতিহিংসা অথবা সম্ভোগ সুখ চরিতার্থ করার প্রবৃত্তি।
আজমিরার পোস্টমর্টেম হয়। গ্রামে সভা সমিতি হয়। রাজনৈতিক কূট কৌশল শুরু হয়। সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। বিচার পায় না আজমিরা।
আজমিরা আজো কবরে শুয়ে প্রশ্ন করে - কেন বিবেক বিহীন এই বিশ্ব? কেনই বা চেতনায় হাহাকার?
ডুকরে ডুকরে কাঁদে আজমিরা।
আজমিরা এখন খেলতে চায় না গ্রামের পথে পথে, আজমিরা এখন পাঠশালায় যেতে চায় না।
কারন কবরই ওর কাছে নিরাপদ আশ্রয়। এখানে ধর্ষিত হবার ভয় নেই। বরং কবর থেকে বাইরে বেরুলেই ও আবার ধর্ষিত হতে পারে।
সমাপ্ত
--------------------