স্বর্গীয় বার্তালাপ: দুর্গার আগমন ....✍অরবিন্দ ব্যানার্জী
অন্যরকম
স্বর্গীয় বার্তালাপ: দুর্গার আগমন
অরবিন্দ ব্যানার্জী
দুর্গা কৈলাস থেকে মর্ত্যে এসে পৌঁছ-সংবাদ দেবার জন্য শিবকে ফোন করলেন।
শিব: হ্যালো, কোনো রকম অসুবিধা হয় নি তো?
দুর্গা: আমি তোমাকে কতবার বলেছিলাম নৌকাটা পুরনো হয়েছে, ওটা মেরামত করতে হবে, তুমি শুনলে না, নৌকা ভেঙে যা তা অবস্থা।
শিব: আমি কি করবো, তোমার বাপের বাড়ির লোকেরাই তো ঠিক করে দেয় তুমি কিসে যাবে আর কিসে আসবে। এখন আবার শুনছি ফেরাটাও তোমার হাতে নেই।
যাই হোক, নৌকা ভেঙে কি প্রবলেম হয়েছিল বললে?
দুর্গা: আর বোলো না, নৌকা টা যেই বাবুঘাটে পৌঁছল, উল্টে গিয়ে যা তা অবস্থা, আমরা হুড়মুড় করে জলে পড়লাম। জলে কাদায় যা তা অবস্থা, চারদিকে হৈ চৈ পড়ে গেল। ভাগ্যিস পাবলিক আমার অবস্থা দেখেনি। আমি চট করে অদৃশ্য হয়ে গেলাম। ট্রাকে করে যারা আমার মূর্তি নিয়ে যাচ্ছিল, তাদেরই একটার মধ্যে ঢুকে পড়লাম।
শিব: ঠিক আছে, এত ডিটেলে বলার দরকার নেই, তুমি এখন রোমিংএ আছো।
দুর্গা: আরে না, না, তোমার মনে নেই, গত বছর জিও মোবাইল আসার পর মুকেশ তোমাকে একটা হীরের মোবাইল দিয়েছিল, আমি তো ওটাই ব্যবহার করি।
আর শোনো, কলকাতার রাস্তার অবস্থা তো তুমি জানো, খানাখন্দে ভরা। ট্রাকটা একটা গর্ত বাঁচাতে গিয়ে আমার একটা হাত ভেঙে গেল।
শিব: সে কি, কোন হাত???
দুর্গা: যে হাতে তোমার দেওয়া ত্রিশুলটা থাকে।
শিব: তাহলে অসুরকে মারবে কি করে?
দুর্গা: আরে, ও ভয় নেই, ব্যাটার বয়েস হয়েছে, দু'বার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে, চোখেও ছানি, একটা থাপ্পড় মারলেই মরে যাবে।
শিব: তুমি ডাক্তার দেখিয়েছো ?
দুর্গা: এখন ডাক্তার কোথায় পাবো শুনি! এখন তো দীঘা,পুরী, দার্জিলিং যায় না, ডাক্তাররা পূজোর সময় বিদেশেই পাড়ি দেয় বেশি। অগত্যা ওই যে মূর্তি গড়ে সেই লোকটা ন্যাকড়া জড়িয়ে দিল। খুব ব্যথা করছে গো, কি করে যে চারটে দিন কাটাব!
শিব: আরো যাও বাপের বাড়ি, কতবার বলেছি বয়েস হয়েছে, বাপের বাড়ি যাওয়াটা এবার বন্ধ করো। কিন্তু
তুমি তো শুনবে না। হাতি চড়ে, ঘোড়ায় চড়ে, নৌকায় করে অতদূর যাওয়া কি পোষায়?
দুর্গা: কি করবো বলো, ওরা এমন করে ডাকে, না গিয়ে পারিনা।
শিব: নিজেরা তো তিন চার বছরের আগে মা বাবাকে দেখতে যায়না! তোমাকে ডাকে না কচু, তুমি তো কিছু বোঝোনা, তুমি না গেলে ওদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
দুর্গা: আচ্ছা, এখন রাখি। এক্ষুনি উদ্বোধন হবে, চিফ গেস্ট এসে গেছে।
শিব: কি বললে, বোধন?
দুর্গা: বোধন নয়, উদ্বোধন। এখন আর বোধন হয়না, নমঃ নমঃ করে হয়। আসল হচ্ছে উদ্বোধন। কে কত হেভিওয়েট ভিআইপি আনতে পারে তার কম্পিটিশন। তুমি এসব বুঝবে না, পরে কথা বলব। রাতে হট ওয়াটার ব্যাগটা নিতে কিন্তু ভুলোনা নইলে কিন্তু বাতের ব্যথায় সকালে উঠতে পারবে না। ... আচ্ছা, গুড নাইট।
শিব: হ্যালো, কোনো রকম অসুবিধা হয় নি তো?
দুর্গা: আমি তোমাকে কতবার বলেছিলাম নৌকাটা পুরনো হয়েছে, ওটা মেরামত করতে হবে, তুমি শুনলে না, নৌকা ভেঙে যা তা অবস্থা।
শিব: আমি কি করবো, তোমার বাপের বাড়ির লোকেরাই তো ঠিক করে দেয় তুমি কিসে যাবে আর কিসে আসবে। এখন আবার শুনছি ফেরাটাও তোমার হাতে নেই।
যাই হোক, নৌকা ভেঙে কি প্রবলেম হয়েছিল বললে?
দুর্গা: আর বোলো না, নৌকা টা যেই বাবুঘাটে পৌঁছল, উল্টে গিয়ে যা তা অবস্থা, আমরা হুড়মুড় করে জলে পড়লাম। জলে কাদায় যা তা অবস্থা, চারদিকে হৈ চৈ পড়ে গেল। ভাগ্যিস পাবলিক আমার অবস্থা দেখেনি। আমি চট করে অদৃশ্য হয়ে গেলাম। ট্রাকে করে যারা আমার মূর্তি নিয়ে যাচ্ছিল, তাদেরই একটার মধ্যে ঢুকে পড়লাম।
শিব: ঠিক আছে, এত ডিটেলে বলার দরকার নেই, তুমি এখন রোমিংএ আছো।
দুর্গা: আরে না, না, তোমার মনে নেই, গত বছর জিও মোবাইল আসার পর মুকেশ তোমাকে একটা হীরের মোবাইল দিয়েছিল, আমি তো ওটাই ব্যবহার করি।
আর শোনো, কলকাতার রাস্তার অবস্থা তো তুমি জানো, খানাখন্দে ভরা। ট্রাকটা একটা গর্ত বাঁচাতে গিয়ে আমার একটা হাত ভেঙে গেল।
শিব: সে কি, কোন হাত???
দুর্গা: যে হাতে তোমার দেওয়া ত্রিশুলটা থাকে।
শিব: তাহলে অসুরকে মারবে কি করে?
দুর্গা: আরে, ও ভয় নেই, ব্যাটার বয়েস হয়েছে, দু'বার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে, চোখেও ছানি, একটা থাপ্পড় মারলেই মরে যাবে।
শিব: তুমি ডাক্তার দেখিয়েছো ?
দুর্গা: এখন ডাক্তার কোথায় পাবো শুনি! এখন তো দীঘা,পুরী, দার্জিলিং যায় না, ডাক্তাররা পূজোর সময় বিদেশেই পাড়ি দেয় বেশি। অগত্যা ওই যে মূর্তি গড়ে সেই লোকটা ন্যাকড়া জড়িয়ে দিল। খুব ব্যথা করছে গো, কি করে যে চারটে দিন কাটাব!
শিব: আরো যাও বাপের বাড়ি, কতবার বলেছি বয়েস হয়েছে, বাপের বাড়ি যাওয়াটা এবার বন্ধ করো। কিন্তু
তুমি তো শুনবে না। হাতি চড়ে, ঘোড়ায় চড়ে, নৌকায় করে অতদূর যাওয়া কি পোষায়?
দুর্গা: কি করবো বলো, ওরা এমন করে ডাকে, না গিয়ে পারিনা।
শিব: নিজেরা তো তিন চার বছরের আগে মা বাবাকে দেখতে যায়না! তোমাকে ডাকে না কচু, তুমি তো কিছু বোঝোনা, তুমি না গেলে ওদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
দুর্গা: আচ্ছা, এখন রাখি। এক্ষুনি উদ্বোধন হবে, চিফ গেস্ট এসে গেছে।
শিব: কি বললে, বোধন?
দুর্গা: বোধন নয়, উদ্বোধন। এখন আর বোধন হয়না, নমঃ নমঃ করে হয়। আসল হচ্ছে উদ্বোধন। কে কত হেভিওয়েট ভিআইপি আনতে পারে তার কম্পিটিশন। তুমি এসব বুঝবে না, পরে কথা বলব। রাতে হট ওয়াটার ব্যাগটা নিতে কিন্তু ভুলোনা নইলে কিন্তু বাতের ব্যথায় সকালে উঠতে পারবে না। ... আচ্ছা, গুড নাইট।
সমাপ্ত
--------------------