আমার দেশ, আমার ভারতবর্ষ ....✍তিলক পুরকায়স্থ
ইতিহাস
আমার দেশ, আমার ভারতবর্ষ
তিলক পুরকায়স্থ
বাংলা- ঝাড়খণ্ডের সীমানায় চিত্তরঞ্জন- জামতারার রাস্তায় , বড় রাস্তা থেকে অতি সামান্য দূরে এক তেপান্তরের মাঠের কিনারায় আছে এক লৌকিক দেবী চরকা পাহাড়ির থান।আধুনিক সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরে চড়তে হয়, সিঁড়ির গোড়ায় পোস্ট বক্সের চেহারার সবুজ দান পাত্র গাছে লটকানো।
নিকটবর্তী স্থানের নাম বোদমা (বৌদ্ধমা)। হল্ট স্টেশনের নাম বোদমা, দূরের পাহাড় ও পাহাড়তলী ও বোদমা। গাছের গোড়ায় সামনে পিছনে উঁচু পাথরের বেদি। মন্দিরের আসে পাশে খুঁজলে এখনও অতি প্রাচীন ইঞ্চি খানেক চওড়া, অসম্ভব মসৃন দু একটা ইঁটের টুকরো খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, বাকি সব জন গণেশের ঘরে চলে গেছে।
বর্তমানের পূজিতা দেবী চরকা পাহাড়ি। দেবীর প্রতীক শিলাখন্ড এবং সঙ্গে দুই সাদা ঘোড়া। পতাকাতেও ঘোড়ার ছাপ।
কিছু প্রশ্ন মনে উদয় হল, তাই পিছিয়ে যাচ্ছি টাইম মেশিনে চড়ে। চরকা কি বৌদ্ধ ধর্ম চক্রর পরিবর্তিত রূপ ? বোদমা বা বৌদ্ধমা পাহাড় ও কি একদা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে কার্য কারণ সম্পর্ক নির্দেশ করছে না ? পাথরের বেদির উপর কোন সে দেব মূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল অতীতে ? কে এর উত্তর দেবে ? এর উত্তর পেতে গেলে ঢিবিটির খনন করা দরকার। নইলে ইতিহাসের থেকে মুখ ফিরিয়ে লৌকিক বিশ্বাস নিয়েই কাটাতে হবে। কিন্তু কে করবে ? কেনই বা করবে ? ইতিহাস ধুয়ে কি জল খাওয়া হবে। তার চেয়ে যেমন চলছে পুজো, মেলা, ভি আই পি সমাবেশ, তেমনি চলুক ! খালি মনে হয়, আমার মতন মুক্ষু সুক্ষু মানুষের মনে যে ভাবনা জাগতে পারে, বিশেষজ্ঞদের মনেও কি তা জাগে না!
বর্তমানে, জ্যৈষ্ঠ মাসের ১/২ তারিখ
বিরাট মেলা বসে। বাঙালি, বিহারী, আদিবাসী সবাই যোগদান করেন। পাঁঠা বলি হয়। ক্ষেত্র সমীক্ষক নবারুণ মল্লিকের কাছে জানলাম যে, মুসলিম ভক্তরাও নাকি পাঁঠা বলি দেন। এটাও একটি নতুন খবর পেলাম, তাই আগামী ১ লা জ্যৈষ্ঠ আসতেই হবে এখানে। তখন ভক্তদের কাছেই জানত পারব, বিশ্বাস ও ইতিহাসের বন্ধন।
আর দেওয়া হয় অসংখ্য লাল মাটির ঘোড়ার ছলন। লক্ষ লক্ষ লাল ঘোড়া জমে জমে বিশাল স্তূপের আকার ধারণ করেছে। সেও একটা দেখার মতন বিষয়।
দুমকা জেলায় দেখার মতন অনেক কিছুই আছে। পর্যটকদের প্রিয় জায়গা ম্যাসেনজোর তার অন্যতম। একটু অফ বিট জায়গা যাঁদের পছন্দ তাঁরা এসব জায়গায় আসতে পারেন। জামতারার কাছেই আছে অসংখ্য ছোট ছোট ঘোরার জায়গা যেমন পাহাড়িয়া জন জাতির পূজিত চুটনাথ শিব মন্দির, যেখানে পুজোর পদ্ধতি হচ্ছে বাবার মাথায় দেশি হাঁড়িয়া মদ ঢালা। এছাড়াও দেখা যেতে পারে ধামসা মাদল তৈরি এবং ডোকরা ধাতু শিল্পের গ্রাম দর্শন ইত্যাদি।

নিকটবর্তী স্থানের নাম বোদমা (বৌদ্ধমা)। হল্ট স্টেশনের নাম বোদমা, দূরের পাহাড় ও পাহাড়তলী ও বোদমা। গাছের গোড়ায় সামনে পিছনে উঁচু পাথরের বেদি। মন্দিরের আসে পাশে খুঁজলে এখনও অতি প্রাচীন ইঞ্চি খানেক চওড়া, অসম্ভব মসৃন দু একটা ইঁটের টুকরো খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, বাকি সব জন গণেশের ঘরে চলে গেছে।
বর্তমানের পূজিতা দেবী চরকা পাহাড়ি। দেবীর প্রতীক শিলাখন্ড এবং সঙ্গে দুই সাদা ঘোড়া। পতাকাতেও ঘোড়ার ছাপ।
কিছু প্রশ্ন মনে উদয় হল, তাই পিছিয়ে যাচ্ছি টাইম মেশিনে চড়ে। চরকা কি বৌদ্ধ ধর্ম চক্রর পরিবর্তিত রূপ ? বোদমা বা বৌদ্ধমা পাহাড় ও কি একদা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে কার্য কারণ সম্পর্ক নির্দেশ করছে না ? পাথরের বেদির উপর কোন সে দেব মূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল অতীতে ? কে এর উত্তর দেবে ? এর উত্তর পেতে গেলে ঢিবিটির খনন করা দরকার। নইলে ইতিহাসের থেকে মুখ ফিরিয়ে লৌকিক বিশ্বাস নিয়েই কাটাতে হবে। কিন্তু কে করবে ? কেনই বা করবে ? ইতিহাস ধুয়ে কি জল খাওয়া হবে। তার চেয়ে যেমন চলছে পুজো, মেলা, ভি আই পি সমাবেশ, তেমনি চলুক ! খালি মনে হয়, আমার মতন মুক্ষু সুক্ষু মানুষের মনে যে ভাবনা জাগতে পারে, বিশেষজ্ঞদের মনেও কি তা জাগে না!

বর্তমানে, জ্যৈষ্ঠ মাসের ১/২ তারিখ
বিরাট মেলা বসে। বাঙালি, বিহারী, আদিবাসী সবাই যোগদান করেন। পাঁঠা বলি হয়। ক্ষেত্র সমীক্ষক নবারুণ মল্লিকের কাছে জানলাম যে, মুসলিম ভক্তরাও নাকি পাঁঠা বলি দেন। এটাও একটি নতুন খবর পেলাম, তাই আগামী ১ লা জ্যৈষ্ঠ আসতেই হবে এখানে। তখন ভক্তদের কাছেই জানত পারব, বিশ্বাস ও ইতিহাসের বন্ধন।
আর দেওয়া হয় অসংখ্য লাল মাটির ঘোড়ার ছলন। লক্ষ লক্ষ লাল ঘোড়া জমে জমে বিশাল স্তূপের আকার ধারণ করেছে। সেও একটা দেখার মতন বিষয়।

দুমকা জেলায় দেখার মতন অনেক কিছুই আছে। পর্যটকদের প্রিয় জায়গা ম্যাসেনজোর তার অন্যতম। একটু অফ বিট জায়গা যাঁদের পছন্দ তাঁরা এসব জায়গায় আসতে পারেন। জামতারার কাছেই আছে অসংখ্য ছোট ছোট ঘোরার জায়গা যেমন পাহাড়িয়া জন জাতির পূজিত চুটনাথ শিব মন্দির, যেখানে পুজোর পদ্ধতি হচ্ছে বাবার মাথায় দেশি হাঁড়িয়া মদ ঢালা। এছাড়াও দেখা যেতে পারে ধামসা মাদল তৈরি এবং ডোকরা ধাতু শিল্পের গ্রাম দর্শন ইত্যাদি।
সমাপ্ত
--------------------