সমস্যা যখন ব্রণ ....✍সংগৃহীত




চিকিৎসা

সমস্যা যখন ব্রণ

সংগৃহীত

🏵️ উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েদের একটি বড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হতে হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেটা হল ব্রণ।

🏵️ এটা আমাদের সুন্দর মুখমন্ডল কে কুৎসিত বানিয়ে দেয়। এই নিয়ে অনেকে হতাশায় ভোগেন।

🏵️ বেশি পরিমাণে তৈলাক্ত খাবার, মসলাদার খাবার বা পেটের গোলমাল থাকলে বা অনেক সময় বংশগত কারণে এটি হয়ে থাকে।

🏵️ ব্রণ বা ফুসকুড়ি (pimples) কী?

🏵️ ব্রণ কেন হয়?

🌹ব্রণের চিকিৎসা এবং এ থেকে মুক্তির উপায় কি কি ?? তা আমাদের জানা দরকার:-

🌹পরিচ্ছন্ন একটি মুখ আমরা সবাই চাই। কিন্তু চাওয়া আর পাওয়া সব সময় এক হয় না।

🌹সাধারণত টিনেজরাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে।

🌹 ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে ব্রণ কি ? কেন হয় ? কাদের হয় ?কি কি করনীয় ?চিকিৎসা কি আছে ?

🌹ব্রণ কী?

🌹সেবাসিয়াস গ্রন্থি সেবাম নামে একপ্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে। কোনো কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে উঠে, যা ব্রণ (acne) নামে পরিচিত।

🌹ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়। বন্ধ নালির মুখে জমাকৃত কোষগুলি আস্ত আস্তে কালো হয়ে গেলে তাকে কালো ফোঁটা বলে।

🌹ব্রণ কেন হয়?

🌹ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না থাকলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়।

🌹ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ।

🌹প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে।

🌹 এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে।

🌹অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে।

🏵️ ব্রণের প্রকারভেদঃ

🏵️1) ট্রপিক্যাল একনি– অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে।

🏵️2) প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি– কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়।

🏵️3) একনি কসমেটিকা– কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে।

🏵️4) একনি ডিটারজিনেকস– মুখ অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও ( দৈনিক ১/২ বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়।

🏵️5) স্টেরয়েড একনি– স্টেরয়েড ঔষধ সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন– বটানোবেট ডার্মোভেট জাতীয় । ঔষধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায় ।

🏵️ব্রণ হলে কী করবেন:

🏵️দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।

🏵️ব্রণে হাত লাগাবেন না,,তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।

🏵️মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

🏵️পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।

🏵️রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

🏵️মানসিক চাপ পরিহার করুন।

🏵️প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর জল পান করুন।

🏵️কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে।

🏵️ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

🏵️পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

🌹ব্রণ হলে কী করবেন না:

🌹রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।

🌹তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।

🌹ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।

🌹চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।

🌹ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।

🌹বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

🌹ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।

🌹কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।

🌹আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

🏵️ব্রণের চিকিৎসা:

🏵️ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে।

🏵️ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে যায়।

🏵️চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্রণের প্রকারভেদের ওপর নির্ভর করে।

🌹ব্রণ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়ঃ

🌹 বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রণ বংশগত। একে অনেকেই pimple, zit বা spot বলে থাকে। বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য নানারকম ঔষধ পাওয়া যায়।

🌹সেগুলো ব্যবহার করার আগে আসুন কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরন করি।

🏵️1) বরফ ব্যাবহারঃ
মুখে উপর বরফ ঘষুন ১০ মিনিটের মত । এতে ব্রন কম বের হবে এবং ইতিমধ্যে যদি ব্রন বেরিয়েও থাকে, কমে যাবে ।

🏵️2). টুথপেস্ট ব্যবহারঃ
ব্রনের উপর সামান্য করে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রন আকারে কমে যাবে এবং শুকিয়েও যাবে।

🏵️3). রসুন ব্যবহারঃ
ব্রনের উপরে এবং চারপাশে কাচা রসুন ঘষে দিন। এতে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং দাগ ও অনেক কমে যাবে।

🏵️4). কমলার খোসা ব্যবহারঃ
কমলার খোসা বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। ব্রন কমে যাবে।

🏵️5). মধু ব্যবহারঃ
ব্রন ওঠার সাথে সাথে এর উপরে মধু লাগিয়ে দিন। এটা আর বাড়তে পারবে না।

🏵️6). কাগজি লেবু ব্যবহারঃ
ঘুমানোর আগে মুখে কাগজি লেবুর রস মাখুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ব্রন মুক্ত থাকবে।

🏵️7). ভিনেগার ব্যবহারঃ
সামান্য জল এবং ভিনেগার প্রথমে গরম করুন একসাথে। তারপর ঠাণ্ডা করে এই মিশ্রন মুখে ব্যবহার করুন। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

🏵️8). আলু ব্যবহারঃ
আলু স্লাইস করে কেটে ব্রনের উপর ঘষুন ৫-৭ মিনিট। ব্রনের আকার অনেক কমে যাবে।

🏵️9). শশা ব্যবহারঃ
শশা থেতো করে সামান্য লেবুর রস একসাথে করে মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রন হবে না। থাকলেও অনেক কমে যাবে।

🏵️10). মুখের পরিচ্ছন্নতাঃ
ভাল ফেস ওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত ২ বার মুখ ভাল করে পরিস্কার করবেন। মুখে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না। নোংরা কাজ করার পর এবং প্রতিবার বাইরে থেকে এসে ভাল করে মুখ ধোবেন।

🏵️11). চোখের ড্রপ ব্যবহারঃ
খুবই কার্যকরী পদ্ধতি। ব্রনের উপর ১ ফোটা করে ইউজ করলেই অনেক কমে যাবে।

🌹তেরো বছর থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত শতকরা নব্বই জনের এ রোগটি কমবেশি হয়ে থাকে।

🌹 বিশ বছর বয়সের পর থেকে নিজে থেকেই এ রোগটি ভাল হয়ে যেতে থাকে।

🌹 তবে এর ব্যতিক্রম যে হয় না তা নয়। কখনও কখনও বিশ থেকে তিরিশ বছর বয়সেও এটি দেখা দিতে পারে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে অনেক বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

🌹এই সমস্ত উপায়গুলি অবলম্বন করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

-----------------------সংগৃহীত--------------------

ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।