কবিতাগুচ্ছ .....✍শুভদীপ পাপলু



কবিতা

   কবিতাগুচ্ছ  

   শুভদীপ পাপলু


পাঞ্চালি শক্তি
************

এখনো বস্ত্রহরন করি
বর্বরতা আঁকি,আধুনিক দ্রৌপদি দের বুকে।
তারমধ্যে একজন ব্যাসার্ধের বিষে-
কালকেউটে হয়ে যায়,
আরেকজন মগজ জরায়ু ছিঁড়ে মনসামঙ্গল।
কিন্তু বর্ষাতি বোঝে না জলবায়ু পরিবর্তন,
কোনও এক বৃদ্ধ জাতিস্মরে অ্যান্টনির মতো কবিয়াল নেশায়;
বিচ্ছিন্ন ট্রামলাইন নীলাভ রজনীগন্ধায় ধাক্কা খায়।
তবু আজও, সব লজ্জার বস্ত্রহরন করি
আর-নষ্ট সময়ে হাঁ করে দেখি,সময়ের ছায়া পিঁড়ি।

শক্তি দা; অবণী কিন্তু বাড়ি নেই,
ডাকা'র সেই শক্তি'ও নেই আর--
তোমার স্পর্ধা পরনির্ভর,আমি বিনয়শক্তি করেছি পারাপার...
অপর এক দ্রৌপদি,উষ্ণতা ভাগ করে আনন্দ পায়,
তাঁর'ও উলঙ্গ বাগান,ফুলে অসৎ দেবতা'র সমন্বয়--
আর, অন্য দ্রৌপদি অপ্রয়োজনের হসন্ত।
ঐ তারিখের চুল্লি'টা শুনেছি এখনও নেভেনি,
জানিনা আদৌ জ্বালানো হয়েছিল কিনা!
বারো হাত নারী'র পর্দাপ্রথা ভেঙে,তৈরি হয় প্লেট।
এ বছরেও অনিশ্চিত সংজ্ঞায় উদাহরন হইনি,
আমার ফুলদানি গর্ভবতী; তুমি বাবা হয়েছ অবণী!

^^^^^^^^^^^^


প্রলাপ
******

মেঘ-দুপুরে নোঙর খুলে হাওয়া,
চুল লিখেছে বৃষ্টির কারুকাজ।

মন খারাপে ভাঙা পেয়ালার শোক...
জ্বরের কাব্যে ছাদ ভর্তি লোক।

চুমু খাবে?এইখানে,না দূরে?
ঝড় উঠেছে প্রথম পুরস্কারে...

জেতার জন্য লাগবে একটা পুট--
লুডোর কোর্টে রং হীন খুঁতখুঁত

স্যাঁতস্যাঁতে দাগ মিলিয়ে যাবে সুরে
ভাতঘুম মোড়া অলস ধরমপুরে...

মাঝরাতে কাল দিব্যি খেয়েছি তোমার
লোডশেডিং-এ দড়ি খোলা পা-জামার।

পলকা ঠোঁটের মায়াহীন লিপস্টিকে
শহর লুকলো ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে

যেসব চাঁদে বসতি গড়াই শ্রেয়...
পারলে তাকে বিস্ফোরক যুগিও।

^^^^^^^^^^^



যেন তাঁর কোনও স্মৃতি,মনে না পড়ে
************************

টুটেনখামেন--
তোমার প্রেতাত্মার সাথে শীতল সঙ্গম করেও
সন্তান উৎপাদন করতে পারিনি বলে,
রাণী আনেখসেনামুন কে ভাসিয়ে দিয়েছি-
নীলনদের জলে...

তুমি আনন্দবাজার পত্রিকা'র উত্তর সম্পাদকীয় বিভাগে; যন্ত্রণায় ছটফট করো,
হিয়েরোগ্লিফিকে লেখা সর্পিল উত্তরাধিকারের পাতালে; যে পুনরায় মমি হচ্ছে, তাকে উদ্ধার করো
ছাড়ো এ ব্রহ্মাস্ত্র, ছাড়ো...

যে মিমাংসায় লাইব্রেরী রুম ঘিরে থাকে মাকড়সার জাল,
সেখানে মরিচীকা ভাঙছিলো–অবশ্য ভাঙতই,
রাজধানী পরিবর্তন না করলে;

আটক হলাম নিস্কামে! তুমি প্রবহমান–
নিহত সর্বভুকের কোলে কোলে,
নিঃসন্তান শুক্রাণু'র কি'ই বা মূল্য?তাই,
শরীর পচেছে রাষ্ট্রভাষার দলে।

^^^^^^^^


রইল না
*******

সারেন্ডারের আনাগোনা ছিল কুলিন সত্যপীরে,
পরকীয়া তিথি আসলো,যেদিন ঝড় এল কোহিনূরে
হাঁক পাড়তেই জিভ দো-টানা,অভ্যেস নালিশে
হলুদ পাতায় জীবিকা গাঁথা,রাস্তা মিশলো বিষে।
ষোড়শী চুলে কোরান-পুরান,পুড়ছে রণে বনে
ভিঞ্চি নয়,কুখ্যাত ছবি,বিকোয় ধারাস্নানে।
দ্বন্দ সমাসে দাগটানি,যখন রাত জাগে নারী নেশা,
হেমলক দোষে টিপটিপ করে,ঝরে পড়ে প্রত্যাশা।
কালো ঘোড়াক্ষুর চুপটি করে ফেলুদা-সমগ্র দ্যাখে,
প্রাচীন শরীরে ভাড়াটিয়া আসে,দুপুর দুটোর ডাকে।
ভয়ার্ত শিরায় লালন ফকিরের,একতারা ছিলো মৃত
সারেন্ডারের পিরামিডে সে আজ,বেনামী-বিকৃত।
লাস্ট করিডর যেদিন হারায়-প্রেমিকার কোলাজে,
ঠোঁট কামড়ে ছুঁই ভায়োলিন,বাজাই ঊরুর মাঝে।
তোমার বুকের মুখ গোমড়া,নাবিক বেদুঈন...
আমার অক্ষর স্বভাব দোষে,সিনেমা'র ফার্স্ট সিন্ ।
পুরনো বানানের অন্যায়-এ,দায় নেই কোনো হত্যার
গ্রাস তুমি করতেই পার,যদি সেটা হয় দেবতা'র!

^^^^^^^^^^^^^^



অবুঝ গতিপথ
*************

তোমার শপথে রাজনীতি দূরে সরে।
দু'চোখে ভেজানো সোনালী জ্যোৎস্নাথলি,
তবুও শট'টা ঠেকে গ্যাছে ফার্স্ট বার-এ...
বোবা হয়ে গ্যাছে রোদ বাগানের মালি।

ছায়াপথ জুড়ে সজীব যুবক থাকো,
মিথ্যে আলাপে ধার করে আনো সুখ...
দেখিয়ে দিয়েছো,তাই-শূন্য দেহেই লেখো,
উপনদী'তে, স্রোতেরাও উজবুক!

বাকি নেই কোনও,গৃহযুদ্ধের কাজ।
রথের চাকায় লুপ্ত সর্বহারা,
তোমার অস্থি নবজীবনের বাজ...
আকাশেই এঁকো,অচেনা ক্ষিধের সাড়া!
--------------------

ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।