মালিনী....✍মৌসুমী রায়ঘোষ




ভুতের গল্প

মালিনী

মৌসুমী রায় ঘোষ


মায়াপুরের মন্দিরের পেছনে গঙ্গার ধারের এই ঘাটটা আমার খুব প্রিয়। কালই এখানে আসি আর পরদিন সকালেই এই ঘাটটা আবিষ্কার করি। তারপর থেকে সকালে আর সন্ধ্যেতে হাঁটতে বেরিয়ে এই ঘাটে এসে বসছি আজ দুদিন হলো। দুরে গঙ্গার বুকে আকাশটা যেখানে এসে মিশেছে সেখানে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনটা যেন কোথায় হারিয়ে যায়। আমার বেশ লাগে এই ভাবনা বিলাসিতা। দুর থেকে মন্দিরের ঘন্টাধ্বনি ভেসে আসে। সব মিলিয়ে এক ঐশ্বরিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় যেন। মন্দিরটা ঘাট থেকে বেশ অনেকটা দুরে তাই ঘন্টাধ্বনিও তেমন প্রবল নয় যাতে ভাবনা বিলাসিতায় বাধা পায়। সব মিলিয়ে এটা আমার খুব পছন্দের জায়গা। এমনিতে এই মায়াপুরে আমি প্রথম এলাম। আমার দুর সম্পর্কের এক বৃদ্ধা দিদিমা এখানে থাকেন। তার জোয়ান ছেলে দুবাইতে ছোটোখাটো কোনো কাজ পেয়ে চলে যাওয়ার আগে আমার বাবার কাছে অনুরোধ করে তার বৃদ্ধা মায়ের খেয়াল রাখার জন্য। তাকে রোজগারের জন্য যেতেই হবে। ঘরে বসে থাকলে তো চলবে না। আমার বাবা তাকে আশ্বস্ত করেন এই বলে যে তার মা-কে নিজের বাড়িতেই এনে রাখা হবে। তাই শুনে বৃদ্ধার ছেলে মানিককাকা নিশ্চিন্তে দুবাই রওনা দেয় আর আমি বাবার কথা রাখতে সেই দিদিমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে প্রথমবার এসেছি মায়াপুর। কিন্তু কিছু সংস্কারবশত দিদিমা এ মাসে ভিটে ছারতে রাজি নন। তাই এই পনের-বিশদিন থেকে তবে যেতে হবে। আমিও তাই সেভাবেই ছুটি নিয়ে এসেছি। প্রথমদিকে একটু বিরক্তই হয়েছিলাম, কিন্তু এখন জায়গাটা বেশ ভালো লাগছে। বিশেষ করে এই গঙ্গার ঘাটটা। এর নাম নাকি মন্দির ঘাট। এটা ভালো লাগার আরেকটা কারন এখানে কখনও মানুষের ভিড় দেখিনি। বা গুটিকয়েক মানুষ থাকলেও তা দুপুরের দিকেই। সকাল আর সন্ধ্যেটা ফাঁকাই থাকে, একদম জনশুন্য। আমার অবশ্য ভালোই লাগে। বেশ নিরিবিলি, কোলাহলমুক্ত। নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশে এই একটামাত্র সময় কাটানোর সম্বল আমার ছিলো। বাড়িতেও কানে কম শোনা দিদিমার সাথে কথা বলা দুষ্কর। যাইহোক এখানেই এ মাসের বাকি দিনগুলো কাটিয়ে দিদিমাকে সাথে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেবো।
সেদিন গঙ্গার ধারে ওই মন্দির ঘাটটায় বসে আছি গত দিনের মতই। হঠাৎ নুপুরের মৃদু রিনঝিন আওয়াজ কানে আসতেই চমকে ফিরে পেছনে তাকালাম। তখন সময়টা বেশ ভোর ভোর। একটু আগেই সুর্যোদয় হয়েছে। গঙ্গার বুকে লাল টকটকে সুর্যোদয়ের সেই অপরুপ দৃশ্য দেখার রেশ তখনও মনে লেগে রয়েছে। তন্ময় হয়ে সেদিকেই তাকিয়ে আছি কতক্ষন জানিনা। তখনই কানে এলো সেই নুপুরের শব্দ। চমকে ফিরে তাকালাম। দেখলাম এক যুবতী দাঁড়িয়ে, হাতে ফুলের সাজি, পরনের লালপাড় শাড়ী আর কপালে চন্দনের টিপ দেখে মনে হলো ওই মন্দিরের সেবাদাসী হবে হয়তো। কিন্তু এরকম এক অল্প বয়সী যুবতীকে এই এতো ভোরে একা গঙ্গার ঘাটের ধারে দেখে খুব অবাকই হলাম। যে কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটে যেতে কতক্ষন, কুরুচিপুর্ন পুরুষেরা মন্দিরের পুজারিনী বলে তার সঙ্গে ভদ্র আচরন করবে এমন কখনও শোনা যায়নি।
আমার যখন এরকম বিহ্বল অবস্থা তখন যুবতীই নিস্তব্ধতা ভাঙলো,
-'কে আপনি? এতো সকালে এখানে বসে আছেন।'
আমি উঠে তার দিকে ফিরে মুখোমুখি দাঁড়ালাম।
-'নমস্কার, আমার নাম পলাশ।'
-'আপনি কি এখানে নতুন? আগে তো কখনও...'
-'হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, আমি এখানে নতুনই। একটা কাজে কিছুদিনের জন্য এসেছি। এই জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগে তাই প্রায়শই এখানে এসে বসি।'
-'ও আচ্ছা। হ্যাঁ, এই জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর। আমারও খুব ভালো লাগে।' একটু বিরতি দিয়ে আবার বললো, 'আমিও আসি এখানে।'
বলতে বলতে দু-ধাপ নেমে সে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। কাছ থেকে তার সুন্দর মুখশ্রী আরও ভালোভাবে দেখতে পেলাম। বড় বড় চোখ মেলে সে আমারদিকে তাকিয়েছিলো। খোলা চুল। মুখমন্ডলে সুর্যদয়ের লাল আভা তার সৌন্দর্য্যকে খুব আকর্ষনীয় করে তুলেছে। আমি মুগ্ধ হচ্ছিলাম তার স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্যে। খানিক চেয়ে থেকে সে মৃদু হেসে ঘাটের সিঁড়ি ভেঙে নেমে গেলো জলের ধারে। ফুলের সাজিতে রাখা ছোটো এক পিতলের ঘটে গঙ্গাজল ভরে উঠে দাঁড়ালো। তারপর সিঁড়ি ভেঙে ফিরে গেলো যে রাস্তায় এসেছিলো সেই রাস্তায়। শুধু আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক সৌজন্যমুলক হাসি উপহার দিয়ে গেলো।
আমি সেদিন অনেক কিছু নিয়ে ফিরেছিলাম। সেই স্মিত হাস্যে ভরা, সুর্যোদয়ের লাল আভায় রাঙানো মুখ আমার চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। আমি তাকে আবার দেখার জন্য ভীষনভাবে ব্যাকুল হয়ে পড়লাম। আমার তর সইছিলো না কিছুতেই। ভেবেছিলাম বিকেলে আবার তার দেখা পাবো। অতিকষ্টে সারাদিন পাড় করে বিকেল হতেই ছুটে গেছিলাম মন্দিরঘাটে। কিন্তু নিরাশ হয়ে ফিরতে হলো। তার দেখা পেলাম না। ঘাটে বসে অপেক্ষায় রইলাম তার জন্য অনেকক্ষন। কিন্তু সে এলো না। নিতান্ত হতাশ হয়ে পায়ে পায়ে সামনের চায়ের দোকানে এক কাপ চা খেয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। মনের মধ্যেটা ভীষন ছটফট করছিলো। কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলাম না। বড্ড ইচ্ছে করছিলো মেয়েটিকে আর একবার একটু চোখের দেখা দেখবার। সন্ধ্যবেলা সে এলো না বলে মন বলতে লাগলো আবার সকালে নিশ্চয় দেখা হবে। কিন্তু না পরদিন সকালে, বিকেলে কখনই তার দেখা পেলাম না।আমার এরকম দশা আগে কখনও হয়নি। একেই কি 'লাভ এ্যট ফার্স্ট সাইট' বলে? মেয়েটি কোথায় যে গিয়ে লুকোলো কে জানে। আমাকে এভাবে নিরাশ করে সে কি আড়াল থেকে মজা দেখছে? নিশ্চয় তাই। কতটুকুই বা আমি চিনি তাকে, কিন্তু কেন জানি না সেই অপরিচিত সুন্দরীর ওপর মনে মনে ভীষন অভিমান হতে লাগলো। আমি নিজের এই পরিবর্তন ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছিলো না। কেমন যেন একটা নেশা, কেমন একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি আমি। তেষ্টা পেলে যদি জল না পাওয়া যায় তাহলে তেষ্টা আরও বেড়ে যায়- আমার হয়েছিলো ঠিক সেই অবস্থা।
মনের মধ্যে একটা পাগলামি নিয়ে তারপরদিন ভোরবেলাতেও এলাম মন্দির ঘাটে। আশা-নিরাশার মাঝে এসে বসলাম গঙ্গার ঘাটে। সামনে নদীর বুকের মাঝ থেকে উঠে আসছেন সুর্যদেব। সত্যিই বড় পবিত্র এই ক্ষন। মনের সব গ্লানি ঘুঁচিয়ে দেয়। আমিও মনের এই অশান্তি ভুলে খানিকক্ষনের জন্য প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে গেলাম।
-'কেমন আছেন?'
হঠাৎ এই কথাগুলো কানে আসায় আমার ধ্যানভঙ্গ হলো। চমকে পিছন ফিরেই তাকে দেখে আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত শিহরিত হলো। খানিক সময় লাগলো নিজেকে সামলাতে।
-'আপনি? আপনি এতোদিন কোথায় ছিলেন? কতো খুঁজেছি জানেন?' ঘটনার আকস্মিকতায় মেয়েটির সামনে আমি নিজেকে লুকোতে পারলাম না।
মেয়েটি অবাক হয়ে চেয়ে থাকলো।
-'আমাকে খুঁজেছেন?,কেন?'
আমিও নিজেকে তার সামনে উজার করে দিলাম। আমার মনের সব কথা তাকে জানালাম।
-'হ্যাঁ, সেদিন আপনাকে দেখার পর আপনাকে আবার দেখতে খুব ইচ্ছে করছিলো। জানেন আপনি? তারপর আপনাকে কতো খুঁজেছি কিন্তু আপনার দেখা পাইনি।'
আমার মুগ্ধ দৃষ্টির সামনে মেয়েটি লজ্জা পাচ্ছিলো। ওর লজ্জিত, অর্ধনিমীলিত নজর আমাকে আশার আলো দেখালো। সে কোনোরকমে তার ঘট ভরে চলে যেতে উদ্যত হয়।
-'শোনো'... আমি তাকে পিছু ডাকলাম,
-'আবার বিকেলে আসবে তো?' আমার গলার স্বরের নিদারুন ব্যাকুলতা তাকে স্পর্শ করলো।
সে চমকে মুখ তুলে তাকালো, তার চোখেও একই রকম প্রেমের প্রকাশ দেখতে পেলাম আমি। তারপরেই ভীষন লজ্জা পেয়ে গেল। লাজুক হেসে দ্রুত পায়ে চলে গেলো।
এতোক্ষন যা হলো তা কেমন যেন ঘটে গেলো নিজে থেকেই। কিন্তু যা হয় ভালোর জন্যই।  আমি তাকে আমার মনের কথা বলে দিয়েছি বিকেলেও আবার দেখা হচ্ছে। মনটা একদম ফানুসের মতো ফুরফুরে হয়ে গেলো আমার। প্রেমের নেশায় হঠাৎ পৃথিবীটা যেন খুব সুন্দর রঙীন হয়ে উঠলো।
* * * * *

এভাবেই কাটছে দিনগুলো। প্রতিদিনই সকাল-বিকেল দেখা হচ্ছে তার সঙ্গে। এই ক'দিনে তার নামটাও জেনেছি 'মালিনী'। সে ওই মন্দিরেরই পুজারিনী। তার সাথে সময় কেমন যেন হুশ করে কেটে যায়। কিন্তু অবাক হয়েছি একটা ব্যপার দেখে মন্দিরে পুজো শুরুর ঘন্টা বাজলে কিছুতেই আর মালিনীকে আটকে রাখা যেত না। সে বলতো পুজোর সময় ঠাকুরের কাছে না থাকলে পুরোহিত ঠাকুরের অসুবিধা হবে পুজো দিতে। আমার মনে হতো ও খুব ধর্মপ্রাণা মেয়ে। আমিও জোর করতাম না।  কখন যেন ওর ইচ্ছেগুলো আমার কাছে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছিলো। যতোদিন যাচ্ছিলো আমি মানসিকভাবে মালিনীর সাথে জড়িয়ে পরছিলাম ক্রমশ। ওরও মনে হতো আমাকে ভালোলাগতে শুরু করেছে। কিন্তু যখনই ওকে এখান থেকে আমার সাথে আমার বাড় নিয়ে যাবার কথা বলতাম ও কেমন যেন উদাস হয়ে যেত। কিছু জিঞ্জেস করলে এড়িয়ে যেত। আমি বুঝতে পারতাম না কেন এনমন করে ও। কখনও কখনও মনে হতো আমাকে কিছু বলতে চায়, কিনতু বলতে পারছে না। এরকম ওর কিছু
আচরন আমার খুবই অদ্ভুত লাগতো, যদিও সেগুলোকে আমি খুব একটা গুরুত্ব দেইনি। সে সময় ওর প্রেমে আমি সত্যিই মজে ছিলাম।
ওর সাথে দেখা করে ফেরার সময় কখনও কখনও সামনের চায়ের দোকানটায় গিয়ে বসতাম বা মন্দিরের ভিতরেও ঘুরে আসতাম, যদি আবার একটু ওকে দেখতে পাই। কিন্তু কখনই মন্দিরে গিয়ে মালিনীর দেখা পাইনি। মন্দিরের দু-একজন সেবাদাসি যদিও দেখতাম পুজোর জোগারে ব্যাস্ত। তারা কেউ হয়তো চন্দন বাটছে, কেউ ফুল দিয়ে মালা গাঁথছে। তারা মন দিয়ে মন্দিরের পুজোর কাজে ব্যাস্ত। এভাবে পুরোহিত ঠাকুরের সাথেও কথা হয়েছে কয়েকদিন। তিনি ভীষনই ধার্মিক ব্যাক্তি। ভগবান, গীতা ছাড়া অন্য কোনো বিষয় কথা বলার তার কোনো উৎসাহ কখনও দেখিনি।
একদিন সকালবেলা মালিনীর সাথে দেখা করে মন্দিরে এসে বসলাম। ভাবলাম যদি মন্দিরে কর্মরত মালিনীকে দেখতে পাই। যদিও এমন আশা নিয়ে আগেও এসে নিরাশ হয়েছি। কিন্তু তবু ওই যে বলে না, 'আশায় মরে চাষা'। আশায় আশায় তবু যাই। ঠাকুরমুর্তির সামনে দেখা হলো পুরোহিতের সঙ্গে। গায় একটা মোটা চাদর জড়ানো। কাশছেন থেকে থেকে। বললেন শরীরটা ভালো নেই। খানিকক্ষনের মধ্যেই বুঝলাম ওনার শরীর সত্যিই খুব খারাপ। উনি বললেন,
-'উঠি আর বসে থাকতে পারছি না। ঘরে গিয়ে একটু বিশ্রাম করবো।'
উনি দেওয়াল ধরে উঠতে গিয়ে দেখলাম পারছেন না। আমি ওনার হাত ধরে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলাম।
-'চলুন আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি আপনার ঘরে।'
উনি বাধা দিলেন না। আমি ওনাকে ধরে ধরে অনতিদুরেই ওনার ঘরে পৌঁছে গেলাম। আমাদের দেখে ওনার স্ত্রী ছুটে এলেন। বললাম,
-'চিন্তা করবেন না। ওনার শরীরটা একটু দুর্বল একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।'
আস্তে আস্তে ওনাকে ধরে ঘরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। ওনার স্ত্রীও সাহায্য করলেন।
ওনাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়েই আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দরজার পাশে একটা ছবি, ফুলের মালা জড়ানো। ছবিটা দেখে আমি থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার পা যেন মাটিতে আটকে গেলো। নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। আমাকে ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে পুরোহিত ঠাকুরের স্ত্রী বলে উঠলেন,
-'আমার মেয়ে মালিনী। আমি অবাক চোখে ওনার দিকে তাকালাম। উনি বললেন,
-'হ্যাঁ বাবা....আমার বিশ বছরের মেয়েটা অসুখে ভুগে মারা গেছে। কতো চেষ্টা করেছিলাম। সর্বস্ব বিক্রি করে টাকা যোগাড় করেছিলাম। কিন্তু জানি না কোন পাপে মেয়ে আমাদের কাঁদিয়ে চিরকালের জন্য  চলেই গেলো।' বলে আঁচলে চোখ মুছলেন।
আমার চোখের সামনে পৃথিবীটা দুলছিলো যেন। মনে হচ্ছিলো ছবিটার মধ্যে থেকে এক সম্মোহনি আকর্ষন আমাকে স্থবির করে দিচ্ছে। চোখের সামনে অন্ধকার দেখতে লাগলাম।
--------------------
ভাষাপথ অ্যাপটি ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ। এই অ্যাপটি ভালো লাগেল, অবশ্যই ফাইব ষ্টার রেট দেবেন এবং কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন এবং সকলের সাথে শেয়ার করে নেবেন।